আাফতাব আল মাহমুদ
সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান
এন্টি ক্রাইম এন্ড হিউম্যান রাইটস সোসাইটি
হবিগঞ্জ জেলা
ভোটের সময় আসলে বাবু, টুপি দিয়ে ঢাকো টাক
হাতে তসবিহ গলায় রুমাল, আতর ভরা গন্ধে নাক!
গালি শুনে হাসি মুখে, উল্টো বুলাও মাথায় হাত
হাসপাতালে রোগির সাথে, খুশি মনে কাটাও রাত।
রিক্সাওলার কষ্ট শোকে– রাগে ঠোঁটে বসাও দাঁত
পাসের পরে খুব সহজে, পাছায় মরো শক্ত লাথ।
পাস করিবার তড়িৎ গতি, সামনে চোখে উঁচু চেয়ার
এর পরে আর থাকেনা কো, মধুর বুলি কোনো পেয়ার।
এই সমাজের ভন্ড গুলি, এমনি করে দেয় ধোঁকা
মনে করে তারাই চালাক আর বাকীরা সব বোকা।
যেই সমাজে এমন মানুষ –মাথার উপর বসে খায়
সেই সমাজে ভালো কিছু–কেমন করে ভাবা যায়।
চলছে এখন তেলের নীতি– চাটুকারি ধাপ্পাবাজ
নেতা বলো নেত্রী বলো অফিস বাসায় একই কাজ।
গিরগিটি’রা –যেমন করে–হঠাৎ করে ধরে সাজ
এক নিমিষে কতেক মানুষ, বদলে যেতে নাইকো লাজ।
যে জন পাছায় তেল ঘষাবে-সেই তো নেতার প্রিয়মুখ
তাহার জন্য আছে বেবাক, কলজা ভুনা আস্ত বুক।
অসভ্যতার চরম নীতি– ধারণ করে যে জন হায়
সেইতো এখন ভীষণ সুখি–মাথায় বসে কাঁঠাল খায়।
রুখে দাঁড়াও বিবেকবান’রা–এটি বড়োই অপরাধ
অশুভ আর পেশিশক্তির– করতে হবে প্রতিবাদ।
নইলে তুমি কিসের মনুষ? বিবেক বুদ্ধি কোথায় আর-
ভবিষ্যতের যতো অন্যায়– নিতে হইবে তাহার ভার!
সরকারী সব আমলা গুলি, এখন এরাই বড় ত্রাস
আমার টাকার চাকর বেটা–উল্টো ভরে আমায় বাঁশ।
সচেতন আর শিক্ষার অভাব– হইলে যাহা যেমন হয়
তেমনি করে মানবতা— মূল্যবোধের হইছে ক্ষয়।
লেখা পড়া শিখে যারা– ঘুষের দ্বারা চাকরী নেয়
অসৎ পথে আয় করিয়া, সমান করে তাদের ব্যয়।
সেবার নামে ধোঁকাবাজি –সব শাখাতে চলছে ঘুষ
ভালো কারে বলতে পারি–কম-বেশিতো সবার দোষ।