ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি (পাবনা) :
গোলাম মোস্তফা
পাবনার ভাঙ্গুড়ার পৈতৃক ও ক্রয় সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি জবরদখল চেষ্টা ও ২০ বিঘা জমির ধান কেটে নিয়ে যাওয়ায় ভাঙ্গুড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী নাজমুল হক( ৪৮) সে অষ্টমনিষা ইউনিয়নের লামকান গ্রামের আলহাজ্ব রমজান আলী প্রামানিক এর ছেলে ।
পুলিশের কাছে অভিযোগ সূত্রে জানা যায় পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া থানার লামকান মৌজার ৫১০ নং খতিয়ান দাগ নম্বর ১৫২৮,১২ ৯০,১৫০৯,১৫১৮ ১৫১৪, ১৪৫০,১৪ ৫১,১৫৬৩ সর্ব মোট দাগে জমির পরিমাণ ২০ বিঘা,মোঃ নাজমুল হক নিজে এই জমি ভোগ দখল করে আসছে।
আরও জানা যায়, চলতি মৌসুমে উক্ত সম্পত্তি গুলোতে ধান চাষ করে হঠাৎ করে, ১৫/৬/২০২৩ তারিখে আনুমানিক ভোর ৫ ঘটিকার সময় ১। মোঃ মিজানুর রহমান (৫৬) পিতা মৃত আমজাদ হোসেন ২। মোছাঃ মায়া খাতুন (১৯) পিতাঃ মিজানুর রহমান ৩। জুব্বর আলী (৫৫) পিতাঃ মৃত ফজের মোল্লা,৪। মোঃ আরজু (২৩) পিতাঃ মোঃ জুম্বর আলী,৫। মোঃ ইয়াকুব হোসেন (৪৮) পিতাঃ মৃত তমেজ মোল্লা,৬। মোঃ শফি (৪০) পিতাঃ মৃত নোদাই মোল্লা,৭। মোঃ আজমত আলী( ৩৮),পিতাঃ মৃত আরশেদ,৮। মোঃ হাসিনুর রহমান (৩৭) পিতাঃ রহিম সর্দার, ৯। মোহাম্মদ রহিম সরদার (৬০)পিতাঃ আহম্মদ পাটনী,১০। মোঃ শাহেদ আলী (৫০) পিতাঃ মৃত সবর আলী, ১১। মোহাম্মদ গোলাম হোসেন (৪৫),পিতা মৃত সবর আলী,১২। মোঃ আব্দুর রশিদ (৪৯), পিতাঃ কাদের মোল্লা সর্ব সাং লামকান ২০ বিঘা জমির প্রায় ৫০০ মন ধান চুরি করে কেটে নিয়ে যায় ।
ঘটনা সত্যতা জানতে সরেজমিনে গিয়ে জমিতে কোন ধান পাওয়া যায় নাই।
স্বানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় ,নাজমুল হকের বোনকে তাদের গ্রামেই আব্দুল রশিদের সাথে বিয়ে দেয়, রশিদের সাথে গ্রামের মসজিদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকায় চক্রান্ত মুলক এ কাজ করা হয়।বর্তমানে উক্ত পরিবার নিরাপত্তাহীনতার সঙ্গে জীবন যাপন করছে,আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ।
এ বিষয়ে ঘটনার তদন্ত প্রাপ্ত অফিসার ভাঙ্গুড়া থানার এস আই মুরাদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।