বানারীপাড়া প্রতিনিধি।।
চাচা ভাতিজা ভায়রা ভাই,,
বরিশালের বানারীপাড়ায় ১৩ বছরের সংসার ছেড়ে এক সন্তানের জননী পরকিয়া প্রেমিকের সাথে অবশেষে নতুন সংসারে চলে যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে বানারীপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও চাখারে। বানারীপাড়ার
সুমনের স্ত্রী ছনিয়া আক্তার সুমি প্রমান করলো স্বামী, সন্তানের চেয়ে পৃথিবীতে পরকীয়া প্রেমিকই আপন। সুমন ও স্ত্রী সুমির দীর্ঘ (১৩ বছর) সংসার জীবনে রয়েছে একটি ৯ বছরের ছেলে সন্তান, স্ত্রী সন্তানদের রেখে সুমন ঢাকায় কষ্টার্জীত কর্ম জীবন অতিবাহিত করে স্ত্রী ও সন্তানের সুখের জন্য।
সুমনের স্ত্রী ছনিয়া আক্তার সুমি বানারীপাড়া সদর ইউনিয়নের জম্বদীপ গ্রামের আঃ সালামের মেয়ে। সুমন কাজের জন্য ঢাকায় থাকে, সেই সুযোগে সুমি তার (তালই)
চাখার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খিজির সরদারের প্রবাস ফেরত ছেলে রাবিকের সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত হয়ে পড়ে। বিদেশে থাকা অবস্থায় রাকিবের সাথে মোবাইলে সুমি ঘন্টার পর ঘন্টা চ্যাটিং করতো, যা নিয়ে সুমন সুমির দাম্পত্য জীবনে টুকটাক কলহ লেগেই থাকতো। রাকিব দেশে ফিরে আসলে সুমি চাখারে খালাতো বোনদের বাসায় গিয়ে রাকিবের সাথে যোগাযোগ করে।
উল্লেখ্য, সুমির এক বোন রাকিবের আপন চাচায় বিয়ে করে। তাই রাকিব এবং সুমির এই সম্পর্কটা এলাকার কেহই মেনে নিতে পারছে না।
সুমি ও রাকিবের এই সম্পর্কের কারনে, রাকির ও তার চাচা বর্তমানে ভায়রা ভাই। রাকির বিদেশ থাকা অবস্থায় সুমির সাথে যোগাযোগ করে এবং সুমি গোপনে স্বামীকে ডিভোর্স দেয়। রাকিব দেশে আসার ৭/৮ দিনের মাথায় রাকিব সুমনের স্ত্রী সুমিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এবং রাকিব অডিও বার্তায় বলে আমি সুমিকে নিয়ে আসছি। যদি সুমন বেশি বাড়াবাড়ি করে তাহলে সুমিকে ও সুমনকে মেরে ফেলব। এরকম হুমকি ধামকিদেয় , মারার জন্য ওত পেতে থাকেন তার লোকজন। তারা বর্তমানে সুমির খালাতো ভাই চাখারের মামুনদের বাসায় হানিমুনে বেড়াতে এসেছে বলে জানা গেছে।