নুর আলম, শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার সেটেলমেন্ট অফিসে হয়রানি মুক্ত সচ্ছ ভূমি রেকর্ড দিয়ে সেবা প্রার্থীদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় ডিজিটাল ভূমি জরিপ বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্বে (বিডিএস) জরিপ চলছে। জাজিরা সেটেলমেন্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে জাজিরা উপজেলার ১৩১’টি মৌজা রয়েছে। যার মধ্যে ৮টি মৌজার ডিজিটাল সার্বের কাজ চলমান। এরমধ্যে ৩’টি মৌজার আপত্তি ও ২’টি এটাষ্টেশন চলছে।
চলমান ডিজিটাল সার্বের ভূমি রেকর্ড এটষ্টেশন ডুবিসয়বর মৌজার সেবা প্রার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা সেটেলমেন্ট অফিসের সেবায় খুশি। কোনো ধরনের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের কথায় তোয়াক্কা না করে দলিল ও পর্যাপ্ত কাগজ বিবেচনা করে যেভাবে রেকর্ড দিয়েছে, তাতে সন্তুষ্ট তারা।
সেবাপ্রার্থী মোঃ মকবুল হোসেন ও জসিম মাদবর জানান, এর আগের রেকর্ড তারা দেখেছিলেন। তবে এবারের ভূমি রেকর্ড একটু ভিন্ন। তারা মাঠপর্যায়ের এসে সবাইকে জানিয়ে প্রকাশ্যে জমির কাগজ দেখে জমির পর্চা মাঠ থেকেই দিয়ে গেছে। এবং সবাইকে মাঠ থেকেই বলে গেছে যদি কোনো সমস্যা হয় তবে যেনো তাদের অফিসে অভিযোগ দেয়।
রুবেল দেওয়ান নামে এক সেবাপ্রার্থী জানান, তার জমির আপত্তি চলমান। তারজন্য কোনো টাকাপয়সা তিনি অফিসকে দেননি।
জাজিরায় বর্তমান চলমান ভূমি রেকর্ডে ৪জন রাজস্ব অফিসার, ৫জন আপত্তি অফিসার কাজ করছেন।
রাজস্ব অফিসার ও আপত্তি অফিসারদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমরা ইতিমধ্যে কয়েকটি মৌজার কাজ সম্পুর্ণ করার পথে। যদি কেউ বলতে পারে যে, ‘আমার জমি কাগজে আছে কিন্তু সেটেলমেন্ট অফিসাররা টাকার বিনিময়ে আমাদের ভূমি রেকর্ড দেয়নি।’ তাহলে সব ধরনের শাস্তি মাথা পেতে নিবো। গুটিকয়েক লোক আমাদের ব্যাবহার করে অনৈতিক সুবিধা ভোগ করতে চেয়েছিলো। আমরা তা করিনি বলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে জাজিরা সেটেলমেন্ট অফিসের বিরুদ্ধে মিথ্যা বদনাম রটাচ্ছে।
জাজিরা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ হাসান আলি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় জাজিরা উপজেলায় বর্তমানে ডিজিটাল ভূমি জরিপের কাজ চলছে। জাজিরা সেটেলমেন্ট অফিস হয়রানি মুক্ত সচ্ছ ভূমি রেকর্ড সেবা দিয়ে থাকে। এই অফিসে সেবা নিতে এসে কেউ হয়রানি হয়েছে এমন নজির নেই। এই অফিসে কোনো দালাল নেই। এমন প্রমাণও কেউ দিতে পারবে না। আমরা সবসময় সেবা প্রার্থীদের হয়রানি মুক্ত সেবা দিয়ে থাকি।