রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নাটোর বড়াইগ্রামে অগ্নিকাণ্ডে ৯ মাসের শিশুর মৃত্যু। বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ৮০(আশি)পুরিয়া হেরোইনসহ গ্ৰেফতার-১ পিরোজপুরে জেলা পুলিশের আয়োজনে ৪০৭ টি মসজিদে অপরাধ প্রতিরোধমূলক আলোচনা তেজদাসকাঠী কলেজের ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন স্বেচ্ছাসেবী ও মানবাধিকার সংস্থা” হিউম্যানিটি’স ওয়ালস পাবলিক ওয়েলফেয়ার সোসাইটি (মানবতার দেয়াল) এর উদ্যোগে বিজয় দিবস পালিত শহীদ বুদ্ধিজীবীরা সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন: নুরুল ইসলাম নয়ন নদীতে ডিঙ্গি চালাতে গিয়ে দুই শিশুর করুন মৃত্যু। সম্পত্তির লোভে ৩৬ বছর ধরে ভাতিজীকে বাড়িতে উঠতে দেন না চাচা পিরোজপুরে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মিথ্যা মামলা খালাসে, জেলা বিএনপির আনন্দ র‌্যালী ফুলবাড়ী ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার ও শিবনগর ইউনিয়নের প্রধান শিক্ষিকার পদত্যাগ চেয়ে মানববন্ধন।

নীলফামারীতে লাগামহীন নিত্য পণ্যের দাম দিশেহারা শ্রমজীবী মানুষ

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২৮ বার পঠিত

মোঃ আল আমিন ইসলাম নীলফামারী প্রতিনিধি:

নিত্য পণ্যের মূল্য ঊর্ধ্ব গতিতে বেড়েই চলেছে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ দিশেহারা । ১‌‌৫ অক্টোবর মঙ্গলবার নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার পৌর বাজার সহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় পূর্বের থেকে অনেক চড়া দামে নিত্যপণ্য ক্রয় করতে হচ্ছে ক্রেতাদের ও
এ সময় খুচরা মূল্যে আলু প্রতি কেজি ৭০ টাকা , বেগুন প্রতি কেজি ৯০ টাকা ,পেঁপে পতি কেজি ৬০ টাকা , শসা প্রতি কেজি ৮০টাকা , জিংগা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, দোন্দল প্রতি কেজি ৫০ টাকা , ভেন্ডি প্রতি কেজি ৫০ টাকা , মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৭০ টাকা , লাউ ছোট প্রতি পিস ৩০ টাকা, লাউ বড় প্রতি পিস ৫০ টাকা, কাঁচকলা প্রতিপিস ১০ টাকা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে ।অন্যদিকে শুকনা বাজার ঘুরে দেখা যায় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১২০ টাকা , রসুন প্রতি কেজি ৩০০ টাকা , গুড়ো হলুদ প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, গুড়া মরিচ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা , মুসুরির ডাউল প্রতি কেজি ১৩০ টাকা, বুটের ডাউল প্রতি কেজি ৮০ টাকা , জিরা প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা , সয়াবিন তেল প্রতি কেজি বোতল জাত ১৮০ টাকা , খোলা সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা, সরিষার তেল প্রতি কেজি ২৪০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে বিভিন্ন বাজার থেকে।এ সময় বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়িকদের সাথে কথা বললে ক্ষুদ্র ব্যবসায়িকরা বলেন । এখানে আমাদের কারো কিছু করার নাই আমরা পাইকারি মার্কেট থেকে ক্রয় করে নিয়ে আসি ওখান থেকে যে দর নির্ধারণ করা হয় তার থেকে সীমিত লাভে আমরা এখানে খুচরা মূল্যে বিক্রয় করি ।আমরা পাইকারি বাজারে কম দামে ক্রয় করতে পারলে আমরা ক্রেতাদের কাছে ও কম মূল্যে বিক্রয় করতে পারি । অন্যদিকে চাউল ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে চাউল ব্যবসায়িকরা বলেন। আগে প্রতি ৫০ কেজি চাউলের বস্তা আমরা বিক্রয় করতাম ১৬৫০ থেকে ১৭০০ টাকায়, এখন আমাদের বাজার মূল্য ২৪৫০ থেকে ২৫০০ টাকায় বিক্রয় করতে হচ্ছে কারণ পাইকারি মার্কেটে ৫০ কেজি বস্তা প্রতি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে আমাদের কিছুই করার নাই আমরা পাইকারি বাজার থেকে যেভাবে ক্রয় করি ঠিক তেমনভাবে সীমিত লাভে খুচরা বাজারে বিক্রয় করি । নীলফামারী সদর সহ বাজারে অনেক ক্রেতার সঙ্গে কথা হয়। তাদের ভিতর একজন দিনমজুর এর সাথে কথা হলে তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন আমার সংসারে আমরা পাঁচজন তিনটা ছেলে পড়াশোনা করে আমরা স্বামী স্ত্রী দুইজন আমার সংসারে উপার্জনের একমাত্র ব্যক্তি আমি প্রতিদিন কাজ পাওয়া যায় না মাসের ভিতর ১৫ থেকে ২০ দিন কাজ পাওয়া যায়। দৈনিক মজুরি পায় ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা তারপর ও এখন বৃষ্টির সময় মহাজনেরা কাজ খুবই কম করাই কোন সপ্তাহে দুইদিন কোন সপ্তাহে তিন দিন কাজ পাই নিত্য পণ্যের মূল্য যেভাবে বৃদ্ধি হয়েছে যার কারণে খেয়ে না খেয়ে কোনরকম জীবন যাপন করছি।
আসলে এই বিষয় নিয়ে সচেতন মহল বলতেছেন লাগামহীন হয়ে গেছে কাঁচা বাজার গুলো বাজারগুলো ঠিকমত মনিটরিং না করায় এই অবস্থা দেখা দিয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© All rights reserved © 2022 daily Ajker Songram
Customized By Shakil IT Park