কেরানীগঞ্জ( ঢাকা) প্রতিনিধি:
ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী কাজী মাহমুদ উল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা বদলি হয়েছেন গত ২৭/০৮/২০২৪ তারিখে। সরকারের নির্দেশে বদলি হওয়া সত্ত্বেও প্রকৌশলী কাজী মাহমুদ উল্লাহ তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন না করে
সরকারী নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ করেছেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
গত ২৭ আগষ্ট ২০২৪ তারিখ স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আলী আখতার হোসেন স্বাক্ষারিত এ আদেশ প্রদান করা হয় এবং যথারীতি বিভিন্ন জায়গায় প্রয়োজনীয় কপি সরবরাহ করা হয় এবং তার প্রেক্ষিতে কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে মোহাম্মদ আরিফুর রহমান নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে যোগদান করেন এবং যথারীতি তা গৃহীত হয়। সরকারি বদলির আদেশ পাওয়ার পরেও সেই আদেশের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বর্তমান কর্মস্থলে থাকার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে তদবির করে বেড়াচ্ছেন যা সরকারি বিধি বিধান এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সরকারি নির্দেশ পাওয়া মাত্রই নতুন প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান সাবেক প্রকৌশলীর চার্জ প্রদান করার প্রতিশ্রুতি মোতাবেক দুইদিন কেরানীগঞ্জের কর্মস্থলে এসেছিলেন কিন্তু তিনি চার্জ প্রদান করেননি। এই ব্যাপারে নতুন যোগদানকৃত প্রকৌশলী মোঃ আরিফুর রহমানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রধান প্রকৌশলীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন যে কেরানীগঞ্জের মতো একটি উন্নয়নশীল উপজেলায় জনসম্পৃক্ত অবকাঠামো উন্নয়নের মতো একটি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার জন্য মুখিয়ে আছি এবং
বদলিকৃত প্রকৌশলী মহোদয়ের প্রতি সম্মান দেখিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছিলাম কিন্তু সেই কাঙ্ক্ষিত চার্জ হাতে পাইনি। রিপোর্টারের অনুসন্ধানে জানা যায় যে সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খানের ভাগিনা হওয়ায় অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে এই কেরানীগঞ্জ উপজেলা বদলী হয় , যোগদানের পর পরই
তার স্বেচ্ছাচারিতা, একক সিদ্ধান্ত এবং সুনির্দিষ্ট সময় কাঁজ তোলার ব্যর্থতা, স্থানীয় ঠিকাদারদের অবমূল্যায়ন করা সহ কেরানীগঞ্জের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলায় উন্নয়ন প্রক্রিয়া স্তম্ভিত হয়ে পড়ে.. ফলে স্থানীয় সুশীল সমাজ ও ঠিকাদারদের মাঝে রীতিমত ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। বিশেষ করে বিগত পতিত স্বৈরাচারী সরকারের মন্ত্রীর ভাগিনা পরিচয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করার ফলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র – জনতার মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
এ বিষয় বদলিকৃত প্রকৌশলী কাজূ মাহমুদ উল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,
আমাকে এখনো নির্বাহী প্রকৌশলী কোন রিলিজ লেটার করে নাই। আমি রিলিজশ লেটার না পেয়ে কি ভাবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেই। আমাকে ছাড়লে তো আমি চেয়ার ছেড়ে দিব। আমাদের অফিসিয়াল বিষয় সাক্ষাৎকার নেয়ার কিছু নেই বলে উড়িয়ে দেন। প্রশ্ন ছিল আপনার ২৭ আগস্ট বদলি করা হয়েছে কেন দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন নি। নতুন প্রকৌশলী গেলেও আপনি তার সাথে সদাচরণ করেন নি। তার সাথে দেখা করেন নি কেন? তিনি বলেন ঢাকায় বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত ছিলাম। প্রশ্ন ছিল আমরা জানতে পেরেছি আপনি মাঠে কাজের তদারকিতে গেছেন। বলেন হ্যা। আপনার বদলি হয়েছে এটা আপনি কি পারেন? তিনি বলেন আমি দায়িত্ব বুঝিয়ে দিলে পারতাম না। এখনও পারি?
এ ব্যাপারে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে ফোন দেয়া হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
অধিকন্তু তিনি প্রায়ই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন ফলে প্রশাসনিক কাজে একদিকে যেমন বিঘ্ন ঘটছে অন্যদিকে তেমনি শৃঙ্খলা ভঙ্গ হচ্ছে যা উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এমতাবস্থায় দ্রুত এলজিইডি’র প্রশাসনিক কাজে শৃঙ্খলা আনার জন্য অনতিবিলম্বে সদর দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করছে স্থানীয় ছাত্র জনতা ও ঠিকাদার বৃন্দ।