মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় একটি আবাসিক হোটেল থেকে আফরোজা আক্তার রিতু (১৯) নামের এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে মহিপুর পুলিশ।
শনিবার(১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩ টার দিকে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তায় হোটেলের দরজা ভেঙে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মহিপুর থানা–পুলিশ এবং হোটেল সূত্র জানান, গতকাল শুক্রবার বিকেলে আফরোজা আক্তার রিতু সহ চারজনের একটি দল কুয়াকাটায় বেড়াতে আসে। সন্ধ্যায় তাঁরা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত লাগোয়া হোটেল নিউ সী- বীচ ইন হোটেলের ৫০১ নম্বর কক্ষ (সুইট রুম) ভাড়া নেন। গতকাল রাত পর্যন্ত তারা স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করছিল।
এরপর আজ দুপুরে কোন সারা শব্দ না পেয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশ কে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে হোটেলটির যে কক্ষে ওই তরুণী অবস্থান করছিলেন, সেটির দরজার সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে থাকা ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, যশোর জেলার চোকদাপ পাড়া থানার বেজপাড়া গ্রামে আফরোজা আক্তার রিতুর বাড়ি। হোটেলের রেকর্ড বইয়ে তাঁর স্বামীর নাম লেখা ছিল ইছা মীর। তবে দুর্ঘটনার সময় তার অপর সঙ্গীরা অন্য রুমে ছিল বলে দাবি তাদের।
এ বিষয় হোটেল নিউ সী-বীচ ইন এর ম্যানেজার রুমান মৃধা বলেন,গতকাল হোটেলের নিয়ম অনুযায়ী ডাইরী করে তাদের কাছে রুম ভাড়া দেয়া হয়েছে। গতকাল থেকে তাদের কোন আচার-আচরণও খারাপ দেখিনি। আজ দুপুরে হঠাৎ চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি রুমের দরজা বন্ধ। রুমের সামনে তরুনীর সাথে থাকা তিনজন বসে আছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে দরজা ভেঙে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা মরদেহটি উদ্ধার করে।
তিনি আরো বলেন, এসময় আফরোজা আক্তার রিতুর সাথে থাকা বাকিরা পালানোর চেষ্টা করলে হোটেল কর্মচারীরা তাদের কে আটকে রাখে।
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন,খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় ওই তরুণী যে কক্ষে ছিলেন, সেটির দরজা ভেতর থেকে আটকানো ছিল। এ সময় তাঁরা বারবার ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ পাননি। পরে দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে হয়। ময়না তদন্তের জন্য লাশটি পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ বিষয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।