মোঃ আরাফাত হোসেন:
ভারত আমাদের শান্তিতে থাকতে দিতে চায় না উল্লেখ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, ভারত বাংলাদেশকে অশান্ত করার জন্য বিভিন্ন চক্রান্ত করছে, মিশন নিয়ে আগাচ্ছে। আমরা ভারতকে উদাত্ত আহ্বান জানাই- আমরা বন্ধু রাষ্ট্র চাই, কোনো প্রভুসুলভ মনোভাব চাই না। কেউ প্রভুসুলভ আচরণ করলে এ দেশের জনগণ তা কখনওই বরদাস্ত করবে না।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকা অবমাননা এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেন, আমাদের দেশের সঙ্গে কারও বৈরিতা নেই, আমাদের সঙ্গে সবার বন্ধুত্বই থাকবে। কিন্তু আমাদের ওপর কেউ প্রভুসুলভ আচরণ করলে এদেশের মানুষ এটা মেনে নেবে না।
ভারতীয় হাইকমিশনকে যে বার্তা দিল বিএনপির ৩ সংগঠন-
যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেন, ভারত বাংলাদেশের মানুষকে বিপথগামী করার চেষ্টা করছে। উসকানি দিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের মানুষকে বিভাজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জনগণ কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেবে না। কোন ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতেও দিবে না। রক্ত দিয়েই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, রক্ত দিয়েই আমরা ২৪’র গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছি।
যুবদল সভাপতি আরও বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন এবং সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র। আমরা স্বাধীনতার চেতনাকে বিক্রি করি না। আমরা স্বাধীনতা বুকে ধারণ করি। হৃদয়ে লালন করি। দেশের স্বার্থে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। দেশবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতাবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির, যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল কবির পল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহসভাপতি ইয়াসিন আলী প্রমুখ।