নিজস্ব প্রতিবেদক:
ডিএমপি কমিশনার শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী, এনডিসি বলেছেন, আমাদের প্রধান কাজ আপনাদের নিরাপত্তা দেওয়া। নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কাজ সবার আগে অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে। আপনারা পুলিশকে সহযোগিতা করুন, পুলিশও আপনাদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
আজ মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি.) সকালে মোহাম্মদপুরের রিং রোডের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে পুলিশ, ছাত্র-জনতা ও মোহাম্মদপুর থানা এলাকার সম্মানিত নাগরিকবৃন্দের সমন্বয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশের ইমেজ বৃদ্ধিতে আমাদের প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে। পুলিশ নিস্ক্রিয় থাকলে চোর-ডাকাতের আতঙ্কে মানুষ যে ঘুমাতে পারেনা তা মোহাম্মদপুরবাসী ৫ আগস্ট এর পর বুঝতে পেরেছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধ দমনে পুলিশকে সহযোগিতা করুন।
তিনি আরো বলেন, মোহাম্মদপুরের চাঁদাবাজরা মোহাম্মদপুরেরই বাসিন্দা। সুতরাং আপনার প্রতিবেশী খারাপ মানুষটিকে আপনি প্রতিহত করুন। ফুটপাতের চাঁদাবাজ চক্রকে মনিটরিং করা হচ্ছে এবং দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
কমিশনার বলেন, অটোরিকশা চালক প্রতিনিধিদের সাথে দুদফা বৈঠক হয়েছে। নাগরিকদের স্বার্থে অটোরিকশার প্রয়োজন আছে তবে একই সাথে অটোরিকশার সংখ্যা যাতে আর বৃদ্ধি না পায় সে ব্যপারেও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে কেননা অটোরিকশা বৃদ্ধিতে ঢাকা শহরে হাঁটার রাস্তা কমে যাচ্ছে।
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে তিনি বলেন, মিছিল-মিটিং খোলা রাস্তার পরিবর্তে কোন নির্দিষ্ট এলাকায় যদি করা যায় তাহলে জনদুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হবে। রাস্তা অবরোধের চর্চা থেকে ধীরে ধীরে বের হয়ে আসতে হবে।
মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, মাদক নির্মূলে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ীদের কোন অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। রাষ্ট্র বিনির্মাণে ও সমাজ পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে মতবিনিময় সভা শুরু করা হয়। এরপর গত জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য সকলকে নিয়ে মোনাজাত করা হয়।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও মোহাম্মদপুর থানা এলাকার সম্মানিত নাগরিকবৃন্দ ডিএমপি কমিশনারের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন। ডিএমপি কমিশনার উপস্থিত সকলের কথা মনোযোগ সহকারে শুনেন এবং ডিএমপির পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ রুহুল কবীর খান। সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মোঃ ইসরাইল হাওলাদার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান পিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মোঃ শওকত আলী; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ মাসুদ করিম; র্যা ব-২ এর অধিনায়ক মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।