মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি:
গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইসলামী আন্দোলনের গনসমাবেশে কলাপাড়া শাখার সভাপতি মুফতি মোঃ হাবিবুর রহমানের মনগড়া কাল্পনিক বক্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে কলাপড়া উপজেলা বিএনপি।আজ ৩ অক্টোবর রোজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কলাপড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার,উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক হাফিজুর রহমান চুন্নু, পৌর বিএনপির সভাপতি গাজী মোঃ ফারুক ও সাধারন সম্পাদক মুসা তাওহীদ নান্নু মুন্সী সহ উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার বলেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর কলাপাড়া উপজেলা খেলার মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কলাপাড়া শাখার সভাপতি মুফতি হাবিবুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, বাস স্ট্যান্ড, মোটরসাইকেলের স্ট্যান্ড ও পায়রা বন্দরসহ বিভিন্ন সেক্টর থেকে ১৪ কোটি টাকা চাঁদাবাদি করেছে বিএনপি। এছাড়া ছাড়া হাজী হুমায়ুন শিকদারের কথায় কলাপাড়া থানার ওসি নিরীহ মানুষকে হয়রানী করেছ এবং বিএনপি নেতাদের কথায় উপজেলা প্রশাসক উঠে বসে। ভবিষ্যতে এমনটা হলে তার লোকজন নিয়ে থানা ঘেরাউ করা হবে এবং গলা ধাক্কা দিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বের করে দেয়া হবে। তার এ বক্তব্য সম্পূর্ন মনগড়া, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক।
তিনি বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার সুনির্দিষ্ট তথ্য সহ আগামী ৭ দিনের মধ্যে সাংবাদিকদের মাধ্যমে দেশ ও জাতির কাছে তুলে ধরতে হবে। তাতে ব্যর্থ হলে মুফতি হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এসময় হাবিবুর রহমান সম্পর্কে সমালোচনা করেন হাজী হুমায়ুন সিকদার বলেন, তিনি বিভিন্ন নিরীহ লোকজনের কাছ থেকে ৭ চেক জমা দিয়ে নগদ অর্থ আত্মসাৎ করেছে। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে এবং তার প্রমান স্বরুপ তিনি সাংবাদিকের সামনে হাবিবুর রহমানের একটি উপস্থাপন করেন।
এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন কলাপাড়া শাখার সভাপতি মুফতি হাবিবুর রহমানের এমন মন্তব্যের কারনে কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন সহ উপজেলা ও পৌর শহরে নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিল করে এবং প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেছেন।