মোঃ হেলাল উদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশে হাসিনা পালিয় গেলেও এখনো সংকট কাটেনি।যেই সরকার এসেছে, এটা অন্তবর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের প্রধান নোভেল পুরস্কার পেয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষ তাকে ভালোবাসে।বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে। মানুষ বিশ্বাস করে, একটি অবাদ সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে একটি পার্লামেন্ট গঠন করতে হবে।সেই পার্লামেন্টের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হবে।তারাও কমিটেড। আমরা বিশ্বাস করি তাদের কথায়।যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন।
আজ শুক্রবার বিকাল ৫ টায় ব্রি: জে: (অব:) হান্নান শাহ্ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, দীর্ঘ ১৭/১৮ বছর ধরে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধংস করে দিয়েছে। গণতান্ত্রের সকল প্রতিষ্ঠান গুলো ধংস করে দিয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা বলতে কিছুই ছিলোনা।জাতীয় সংসদ নির্বাচন বলুন, উপজেলা নির্বাচন বলুন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কিছু হয়নি। তারা তাদের প্রার্থীদেরকে নির্বাচিত করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করেছে। ব্যবহার করেছে পুলিশ প্রসাশনকে।শুধু তাই নয় ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কুক্ষিগত করে রেখেছে। গত ১৮ বছর বাংলাদেশে দুর্নীতির নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।শেখ হাসিনার সরকার সারা জীবন ক্ষমতায় থাকবে বলে মানুষকে নিপিড়ন নির্যাতন করে ক্ষমতায় থাকবে আর সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলবে। আজকে খবরের কাগজ খুললেই দেখবেন আওয়ামী লোকজন কত টাকা চুরি করেছে, কত টাকা বিদেশে পাঠিয়েছে, তার ফিরিস্তি দেখতে পান।একটার পর একটা মন্ত্রী ধরা পড়ছে। আল্লাহ কি বিধান,
যারা একদিন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছিলো, তারাই আজকে দুর্নীতির দায়ে,চুরির দায়ে পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় পাঠিয়েছে।
শেখ হাসিনা বড় গলায় বলেছিলেন, আমি শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে আমি পালাতে জানিনা, সেই শেখ হাসিনা ছাত্র জনতার উত্তাল তরঙ্গে অতি দ্রুত গণভবন থেকে হেলিকপ্টারে পালিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, গত ১৭ বছরে আমাদের প্রায় ১০০০ হাজার লোককে গুম করে ফেলেছে। হাজার হাজার লোককে গুলি হত্যা করা হয়েছে।৬০ লক্ষ লোককে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এই এলাকা লোকজনকে জেলে গেছে। রাতে ঘুমাতে পারেনি।কোর্টে যায়, হাজিরা দেয়, পুলিশ টাকা চায়, টাকা না দিতে পারলে ধরে নিয়ে যায়, মামলা দেয়।
পরে তিনি, হান্নান শাহ এর সাথে জেলে থাকার স্মৃতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, হান্নান শাহ ছিলেন সত্যিকার গনতান্ত্রিক মানুষ।সেনাবাহিনীর পোষাক ছিলো। ব্রিগেডিয়ার ছিলেন। মনের দিক দিয়ে ছিলেন গনতান্ত্রিক। দেশ নেত্রী খালেদা জিয়াকে নিয়ে তিনি অত্যন্ত পরিশ্রম করেছেন।
তিনি বলেন, র্তারা পালাইছে, কিন্তু তারা যড়যন্ত্র করছে। তারা গাজীপুরে পোশাক কারখানায় যড়যন্ত্র করছে।তারা পোশাক কারখানা বন্ধ করেছে। আমাদের শ্রমিক ও মালিক ভাইয়েরা আলোচনা করে পোশাক কারখানা খোলেছে।
তিনি বলেন, হিন্দু ভাইদের পূজা আসছে। এসব কেন্দ্র করে তারা অস্থিশিল অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে।আমি হিন্দু ভাইদের বলবো,আমরা আপনাদের পাশে আছি।পূজার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতে পারি, দেশের সকল মানুষ আপনাদের পাশে থাকবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে হাসিনা পালিয়ে গেলেও এখনো সংকট কাটেনি।যেই সরকার এসেছে, এটা অন্তবর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের প্রধান নোভেল পুরস্কার পেয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষ তাকে ভালোবাসে।বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে। মানুষ বিশ্বাস করে, একটি অবাদ সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে একটি পার্লামেন্ট গঠন করতে হবে।সেই পার্লামেন্টের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হবে।তারাও কমিটেড। আমরা বিশ্বাস করি তাদের কথায়, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন।
আজ শুক্রবার বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত নেতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) আ স ম হান্নান শাহ্’র ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী।
এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও ঢাকা বিভাগীয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম ফজলুল হক মিলন এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
বিএনপি নেতা ফজলুল হক মিলন বলেন, আজ যারা সরকারে আপনাদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি, আজকে এই নির্দলীয় সরকারের কাছে আমানত রেখেছি, অসংখ্য প্রানের বিনিময়ে অর্জিত ফসল আপনাদের কাছে আামানত হিসেবে রেখেছে, এটা যেন খেয়ানত না হয়। আমরা শীঘ্রই জনগনের সরকারের আশা করছি।
বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান রতন বলেন,শেখ হাসিনা তার কৃত কলাপের জন্য আওয়ামীলীগের নাম মুছে ফেলেছে। এই দেশে আওয়ামী লিগ করতে গিয়ে তাজ উদ্দীন আহমদ আওয়ামীলীগ করতে পারেনি।
বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান রতন,রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, বেনজির আহমেদ টিটু, বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক এম এ কাইয়ুম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিএনপির সভাপতি শাহ্ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ,উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।