দিদারুল আলম জিসান (কক্সবাজার)
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলুদিয়া পালং ইউনিয়নের উত্তর বড়বিল এলাকায় সন্ত্রাসী কায়দায় ড্রাইভার নুরুল আলম কে,হামলা করেছে তার যৌথ ভাইয়েরা ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা,এতে গুরুতর আহত ও অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটেপটে যায়, নুরুল আলমকে এলোপাথাড়ি ভাবে লোহার রড ও কিরিস দিয়ে হামলা করা হয়,এই হামলায় তিনি গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন তার অবস্থা আশঙ্কা জনক তার পেটের ভিতরে আঘাত হয়েছে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ আগষ্ট) ২৩ সকাল ১০ টার দিকে হলুদিয়া পালং ইউনিয়নের উত্তর বড়বিল ৩ নং ওয়ার্ড এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে, জানা যায় পৈত্রিক সম্পত্তিতে নুরুল আলম গেল কয়েক বছর আগে প্রবাসে থাকা কালীন সময়ে ১০ বছরের রুজি রোজগারের আনুমানিক ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি একতলা বিশিষ্ট পাকা বাড়ি নির্মাণ করেন, তিনি বাংলাদেশে যখন চলে আসে তার বাবা ও ভাই সবাই মিলে ঘরটি দখলে নিয়ে রাখে,বর্তমানে ঘরটি নুরুল আলমের দাবি করলে তাকে উল্টো হামলা সহ বিভিন্ন অজুহ হাত দেখিয়ে থাকেন,এক পর্যায়ে এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে বিচার দেওয়া হলেও নুরুল আলমের পিতা ও ভাই সহ সবাই জনপ্রতিনিতিদের নির্দেশনা অমান্য করে পুনরায় আবারও তার ঘর একাকীত্ব ভোগ করার জন্য তাকে হামলা করে। শুক্রবারে সকালে তাকে ১০ থেকে ১১ জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ দল এলোপাতাড়ি ভাবে ব্যাপক মারধর করে। হামলাকারীরা হলেন-১/ মনজুর আলম (৩৮) ২/খোরশেদ আলম প্রবাসী (৩৫) ৩/ মুহাম্মাদুল হক (২৯) সর্বপিতা আলী আহাম্মদ, ৪/ মোঃ রিদুওয়ান (২৫) পিতা মঞ্জুর আলম, ৫/ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী রফিক
(৩৫) ৬/ নুরু, প্রকাশ নুরাইয়া সহ যৌথভাবে মিলে ভিকটিম নুরুল আলম কে হামলা করা হয়। তারা সবাই হলুদিয় পালং উত্তর বড়বিল এলাকার বাসিন্দা একই ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সার্জেন আবু তাহের জানান, উখিয়ার বিশিষ্টজন আওয়ামী লীগের নেতা মোহাম্মদুল হক চৌধুরীর নির্দেশে নুরুল আলম এবং তার বাবা ও তার ছেলেদের ঘর ও জমিজমার যে মনোমালিন্য হয়েছে সে বিষয়ে তাদের মীমাংসার জন্য নুরুল আলমের বসত ঘরে সালিশের জন্য বসলে এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি হতে না হতে উল্লেখিত হামলাকারীরা অতর্কিতভাবে নুরুল আলমের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে ব্যাপকভাবে মারধর করে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যাওয়ার পর হাসপাতালে নিতে চাইলেও বাধা প্রদান করে এবং সকলে বলে হাসপাতালে নেওয়ার দরকার নেই এখানে মারা গেলে ভালো হয়। এলাকার প্রবীণ মুরুব্বী হাজী মোহাম্মদ সৈয়দ বলেন নুর আলমের এবং তাদের ভাইয়ের মধ্যে যে বিরোধ চলছে সেটি মীমাংসার জন্য তাদের বাড়িতে গেলেই তারা উত্তেজিত হয়ে সকলে নুরুল আলমের উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে অনেক মারধর করেছে সে অজ্ঞান হয়ে গেলে এলাকার অন্যান্যরা এসে তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ভিকটিমের চাচা শাহ আলম জানান তাঁদের মধ্যে ঘর ও জমি জমা নিয়ে অনেক আগে থেকে বিরোধ চলে আসছে কিন্তু নুরুল আলম এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির সালিশ মানলেও তাদের ভাইয়েরা এবং তার পিতা মানতে নারাজ ওই জন্য বারবার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে এবং এটাই যদি সুষ্ঠ সমাধান না হয় তাহলে আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে ।
এই বিষয় নিয়ে ভুক্তভোগী নুরুল আলম জানান, গেল শুক্রবার সকালে ১০ টার দিকে আমার বাবা ও ভাইয়েরা আমার ঘরটি দখল করে নেওয়ার জন্য ১০/১১ জনে হামলা করে, এ হামলায় গুরুতর আহত হলে, পরে আমাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেন,বর্তমানে আমি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছি, পাশাপাশি আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আমার বউকে মারধর করে এবং আমার রুমে থাকা গুরুত্বপূর্ণ গাড়ির কিছু মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়, বর্তমানে আমার একটি ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ছিল এ মোটরসাইকেলটি আমার ভাই ও বাবা ভাঙচুর করে, এ বিষয় নিয়ে আমি উখিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি, তবে বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুকছি, আমি এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে বিচার চাই।
এই বিষয় নিয়ে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী জানান,হলদিয়া পালং ইউনিয়নের বড় বিল এলাকায় পিতা ও পুত্রদের সাথে একটি ঘরের জন্য মারামারির ঘটনা ঘটে, এই ঘটনায় উখিয়া থানা একটি অভিযোগ দায়ের করেছে নুর আলম নামে এক ব্যক্তি,তবে ঘটনার স্থলে একটি পুলিশের টিম পরিদর্শন যান, ওখানে তার বাবা ও ভাইদেরকে নির্দেশ করা হয়েছে যেন অপ্রীতিকর ঘটনা আর না ঘটায়,তবে নুরুল আলম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে, তিনি সুস্থ হওয়ার পরে পারিবারিকভাবে বিষয়টি মীমাংসার জন্য পুলিশের সহযোগিতা থাকবে।