দিদারুল আলম: জিসান ( কক্সবাজার)
টেকনাফে গোলাগুলির ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছেন টেকনাফ-২ বিজিবির কমান্ডার লে. কর্নেল মহিউদ্দিন। বুধবার (২ আগস্ট) রাতে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি উল্লেখ করেন-বিজিবি কর্তৃক চিহ্নিত মাদক কারবারি জাফর আলমকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।
এসময় মাদক চোরাকারবারিদের সঙ্গে বিজিবির গুলি বিনিময় হয়। এসময় বিজিবির ৭ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (২ আগস্ট) টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ লেদা বিওপির একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল দুপুর ১২টার দিকে চিহ্নিত মাদককারবারি জাফর আলমকে ২০ হাজারের অধিক ইয়াবাসহ আটক করে।
পরবর্তীতে টহলদল আটক মাদককারবারি জাফর আলমকে নিয়ে লেদা বাজার অতিক্রমকালে তার সহচরেরা মাইকিং করে তাদের আত্মীয়স্বজন দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। এসময় জাফর আলমের ভগ্নিপতি ডাকাত হারুন তার দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ বিজিবি ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় জনতার ওপর গুলিবর্ষণসহ হামলা করে এবং মাদক কারবারি জাফর আলমকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে।
এসময় বিজিবি টহলদল আত্মরক্ষার্থে কয়েক রাউন্ড গুলি করে এবং সন্ত্রাসীদের ছত্রভঙ্গ করে আসামি ও মাদকসহ ফেরত আসে। সন্ত্রাসীদের হামলায় ৭ জন বিজিবি সদস্য গুরুতর আহত হয় যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের সবাইকেই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সন্ত্রাসীদের নির্বিচার গুলিতে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি হতাহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের আঘাতের বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনায় ছররা গুলি বা দেশীয় বন্দুকের আঘাত বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রতীয়মাণ হয়।
তিনি আরও জানান, চিহ্নিত মাদককারবারি জাফর আলমকে জব্দকৃত ইয়াবাসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর এবং এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত জ্ঞাত ও অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।