স্টাফ রিপোর্টার উমর ফারুক
নাটোরের গুরুদাসপুরে সরকারি বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি অ্যান্ড বিএম ইনস্টিটিউটে অধ্যক্ষের নামে রাখা বস্তায় মোড়ানো পার্সেলটিতে আম নয় ছিল সুটকেস ভর্তি বোম। শনিবার দিবাগত গভীর রাতে ওই বোমটি নিষ্ক্রিয় করে ডিএমপি ডিবি বোম ডিস্পোজাল টিম।
গত শনিবার অধ্যক্ষের অফিস কক্ষের দরজার কাছে কে বা কারা প্লাস্টিকের বস্তায় মোড়ানো পার্সেলটি রেখে যায়। পার্সেলে লেখা ছিল ‘৩০ কেজি আম, প্রাপক, প্রিন্সিপাল, বঙ্গবন্ধু কলেজ, গুরুদাসপুর, নাটোর।’
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম সাঈদ জানান, ঘটনার দিন সকাল ৯ টার দিকে প্রাতিষ্ঠানিক কাজে কলেজে আসেন তিনি। দরজা ঘেঁষে রাখা বস্তা দেখে সন্দেহ হলে গুরুদাসপুর থানায় ফোন দেন।
ওসি মুহা. মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশ বস্তায় মোড়ানো পার্সেল না খুলে র্যাব-৫ কে জানায়। বিকিলে রাজশাহী থেকে র্যাব-৫ এর একটি টিম এসে বস্তাটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হয় তাতে শক্তিশালী বোমা রয়েছে। কিন্তু বোমাটি নিষ্ক্রিয় করার মতো তাদের কাছে উপযুক্ত সরঞ্জাম নেই।
ঢাকা র্যাবের সদর দপ্তরে খবর দিলে ডিএমপি ডিবি বোম ডিস্পোজাল এক্সপার্ট টিম রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ঘটনাস্থলে আসে এবং শনিবার দিবাগত ওই রাত ১২ টা ৩২ মিনিটে বোমটি নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়। বোমটি নিষ্ক্রিয় করার পর আলামত সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। তার আগে বোম বিশেষজ্ঞ দলের নেতা ডিএমপি’র (কাউন্টার টেরোরিজম) ইন্সপেক্টর শফিউদ্দিন শেখ বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি শক্তিশালী পেট্রল বোমা ছিল। এসময় র্যাব-৫ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন, সিংড়া-গুরুদাসপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আখতারুজ্জামান, ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান শাকিল ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ গুরুদাসপুর থানার ওসি মোনোয়ারুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বোমা রাখার খবরে আতঙ্কিত ছিল এলাকাবাসী। সেই সাথে উৎসুক জনতার উপচেপড়া ভিড় ছিল লক্ষনীয়। অধ্যক্ষ সাঈদ গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে বলেন, তাকে মেরে ফেলার জন্য প্রতিপক্ষ হয়তো বোমটি রেখেছিল। কিন্তু কেউ কেউ মনে করছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের দিনে পার্সেলে বোমা রাখার বিষয়টি বোধগম্য নয়। তবে পুলিশ জানিয়েছে পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।