বরিশাল প্রতিনিধিঃ
বরিশাল নগরীতে প্রায় সোয়া চার লাখ মানুষের জন্য পাবলিক টয়লেট আছে মাত্র ৬টি। ফলে চলতি পথে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। মানসম্মত টয়লেট ব্যবহার না করলে বিভিন্ন রোগ সংক্রমণের কথা জানান চিকিৎসকরা। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চাহিদা অনুযায়ী পাবলিক টয়লেট স্থাপনের দাবি সুশীল সমাজের।
৫৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের কর্মব্যস্ত বরিশাল নগরীতে দিন দিন বাড়ছে মানুষের চাপ। নানা প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে থাকা মানুষদের দরকার হয় পাবলিক টয়লেট। তবে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে নেই পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট। যে কয়টি আছে তার বেশিরভাগেরই ব্যবহার অনুপযোগী। ফলে নগরবাসীকে পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়। নগরবাসী জানান, পাবলিক টয়লেট না থাকায় প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। এ সমস্যায় পড়ে নগরবাসী যেখানে সেখানে মলমূত্র ত্যাগ করেছে, ফলে নগরী দূষিত হচ্ছে। সরকারের উচিৎ এদিকটায় বিশেষভাবে নজর দেয়া।
পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট না থাকায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় চাকরিজীবী নারীদের। কর্মজীবী নারীরা বলছেন ৮-৯ ঘণ্টা বাইরে থেকে কাজ করতে হয়। অথচ এ সময়টায় জরুরি কাজ সারার মতো নারীদের জন্য কোনো পাবলিক টয়লেট নেই। বিশেষত ট্রাফিক পুলিশের মতো ফিল্ডে কাজ করা নারীরা বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে। এতে নারীদের নানা ধরনের রোগবালাই হচ্ছে। অন্তত নারীদের কথা বিবেচনা করে হলেও আরো পাবলিক টয়লেট নির্মাণের দাবি জানায়।
নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পাবলিক টয়লেটের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের গুরুত্ব দেয়া উচিত বলে মনে করেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। আর মানসম্মত টয়লেট ব্যবহার না করলে বিভিন্ন রোগে সংক্রমণের কথা জানান চিকিৎসকরা।
বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক শাহ সাজেদা বলেন, ‘বিশেষত নারীর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে পাবলিক টয়লেট অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি আশা করব, সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করবে।
এ বিষয়ে নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. তানজিমা তারান্নুম দিপু বলেন, ‘দীর্ঘ সময় প্রস্রাব আটকে রাখলে, নারীদের ইউরেনেটিক ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শুধু নারী নয় শিশু এবং সব বয়সী মানুষের ক্ষেত্রে এ শঙ্কা থেকে যায়। তাই নগরে পাবলিক টয়লেট জরুরি।
২০২১ সালের জনশুমারি অনুযায়ী বরিশাল নগরীতে প্রায় সোয়া চার লাখ মানুষের বসবাস। তবে পাবলিক টয়লেট আছে মাত্র ৬টি।