স্টাফ রিপোর্টার: মোঃ উমর ফারুক
আগে যেখানে দেখা যেত দিগন্ত জোড়া সবুজ ফসলের মাঠ। এখন সেখানে দেখা মেলে শুধু পুকুর আর পুকুর। উর্বর তিন ফসলী কৃষি জমি কেটে তৈরি করা হয়েছে মাছ চাষের পুকুর।
এতে নাটোরের গুরুদাসপুরে উদ্বেগজনক হারে কমছে ফসলি জমি। যত্রতত্র পুকুর খননের ফলে ফসলের মাঠে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
২১ জুন প্রকাশিত জাতীয় ভুমি ব্যবহার নীতিমালা ২০০১ এর গেজেটে (১৭.১) বলা হয়েছে কৃষি জমি যতটুকু সম্ভব কৃষি কাজে ব্যবহার করতে হবে এবং যথাযথ কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কৃষিজমির প্রকৃতগত কোন পরিবর্তন করা যাবে না। বিদ্যমান জলাশয় উন্মুক্ত রাখতে হবে এবং তা ভরাট করা যাবে না। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ আইন লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী বা সহায়তাকারীকে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদন্ডে বা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দন্ডে দন্ডিত হবে।
আইনি বিধিনিষেধ থাকলেও তার তোয়াক্কা না করে বাঁধাহীনভাবে পুকুর খনন উৎসব চলছে উপজেলার, নাজিরপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর এলাকার ফসলের মাঠে ।পুকুর খনন করছেন নাজিরপুর ইউনিয়নের বীর বাজার এলাকার মোঃশাহিন ইসলাম।এলাকাবাসী জানান, এই পুকুর খননের ফলে অনেক তিন ফসলি আবাদি জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। গুরুদাসপুর উপজেলা প্রশাসনকে ২১জুন প্রকাশিত জাতীয় ভূমি ব্যবহার নীতিমালা ২০০১ এর গেজেট (১৭.১)অনুযায়ী সঠিক আইন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।