স্টাফ রিপোর্টার (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ীতে স্কুল ঘেষে গড়ে ওঠা ‘অনুমোদনহীন’ অবৈধ্য ইটভাটায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যামাণ আদালত। এ সময় ৩টি ইটভাটা গুড়িয়ে দেওয়াসহ মালিকদের কাছে ১৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাটের একবারপুর, কুঞ্জমহিপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলার বিষ্ণুপুর এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। এর আগে, গত শুক্রবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘেষে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম নিয়ে প্রতিবেদন প্রচার করে যমুনা টেলিভিশন।
অভিযান পরিচালনা করেন রংপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ হোসেন ও সাদুল্লাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. তাইফুর রহমান। এ সময় ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ থানা পুলিশ অভিযানে অংশ নেয়।
অভিযানে পলাশবাড়ী উপজেলার বিষ্ণুপুর এলাকার এম এম জেড ব্রিকস মালিক মোহাম্মদ আলীর নিকট ৭ লাখ ও সাদুল্লাপুরের কুঞ্জমহিপুর এস আর ব্রিকস মালিক শাহিন মিয়ার নিকট ৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে অভিযান টের পেয়ে ধাপেরহাট একবারপুরের এম আই বি ইট ভাটা পরিচালনাকারী মাহাবুবুর রহমান সজিব মাষ্টার পালিয়ে যাওয়ায় জরিমানা করা সম্ভব হয়নি।
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাদুল্লাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তাইফুর রহমান বলেন, অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা ৩টি ইট ভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সব ইট ভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এবং জেলা প্রশাসকের কোন লাইসেন্স নেই। তাছাড়া ইট ভাটা গুলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জনবসতিপূর্ণ এলাকা ঘেষে অবৈধ ভাবে বছরের পর বছর পরিচালিত হচ্ছিল। এ সব ইট ভাটা বন্ধে একাধিক বার নির্দেশনা দিলেও তা কর্ণপাত করেননি মালিকরা।
অভিযানে ভাটা তিনটিতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীর সহায়তায় এবং ব্লুডোজার দিয়ে প্রস্তুত করা ইট, ইট তৈরির সরঞ্জাম ও আগুনের চুলা ভেঙ্গে ফেলা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতে অবৈধ ভাবে ইট ভাটা পরিচালনার দায়ে দুই ভাটা মালিকের ৭ লাখ টাকা করে ১৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অপর ভাটা মালিক মাহাবুবুর রহমান সজিব অভিযান টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ায় জরিমানা করা সম্ভব হয়নি। তবে তার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর নিয়মিত মামলা করবেন বলে জানান।