সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নারায়নগঞ্জের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: তাজুল ইসলামের বক্তব্যর ভিডিও ভাইরাল নাটোর বড়াইগ্রামে অগ্নিকাণ্ডে ৯ মাসের শিশুর মৃত্যু। বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ৮০(আশি)পুরিয়া হেরোইনসহ গ্ৰেফতার-১ পিরোজপুরে জেলা পুলিশের আয়োজনে ৪০৭ টি মসজিদে অপরাধ প্রতিরোধমূলক আলোচনা তেজদাসকাঠী কলেজের ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন স্বেচ্ছাসেবী ও মানবাধিকার সংস্থা” হিউম্যানিটি’স ওয়ালস পাবলিক ওয়েলফেয়ার সোসাইটি (মানবতার দেয়াল) এর উদ্যোগে বিজয় দিবস পালিত শহীদ বুদ্ধিজীবীরা সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন: নুরুল ইসলাম নয়ন নদীতে ডিঙ্গি চালাতে গিয়ে দুই শিশুর করুন মৃত্যু। সম্পত্তির লোভে ৩৬ বছর ধরে ভাতিজীকে বাড়িতে উঠতে দেন না চাচা পিরোজপুরে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মিথ্যা মামলা খালাসে, জেলা বিএনপির আনন্দ র‌্যালী

১০০টি সেতু চালু হওয়ায় দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২
  • ৯৯ বার পঠিত

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একযোগে ১০০টি সেতু উদ্বোধনকে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা উল্লেখ করে বলেছেন, এটি দেশের সার্বিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হল আমরা ১০০টি সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নকে দ্রুততর করতে পারবো।’
প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ৮৭৯ নন কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৫টি জেলায় ১০০টি সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার পর বলেন, সেতুগুলো জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, যেকোনো দুর্যোগে মানুষকে সাহায্য করা সহজ হবে, পণ্য পরিবহন এবং বিপণন ও দ্রুত এবং সহজ হবে। সেতুগুলো রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করেছে, কারণ, এগুলো ৩৩টি রুট ফেরি পরিষেবা থেকে মুক্ত করেছে, যা, সড়ক যোগাযোগকে অবাধ, দ্রুত, সহজ এবং নিরাপদ করবে।
সেতুগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৬টি, সিলেট বিভাগে ১৭টি, বরিশাল বিভাগে ১৪টি, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগে সাতটি, ময়মনসিংহ বিভাগে ছয়টি এবং রংপুর বিভাগে তিনটি রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত প্রায় ১৪ বছরে আমরা বিভিন্ন মহাসড়কে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩০৩ মিটার সেতু নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ এবং ২১ হাজার ২৬৭ মিটার কালভার্ট নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ করেছি। তাছাড়া, বহু সড়ককে তাঁর সরকার মহাসড়কে উন্নীত করেছে যাতে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়।
তিনি বলেন, সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নে জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু নির্মাণ কাজ সমাপ্তকরণসহ খুলনা, পাকশী ও আশুগঞ্জে তিনটি বৃহৎ সেতু নির্মাণ করা হয়- যা মহাসড়ক নেটওয়ার্ককে নিরবচ্ছিন্নœ করে তোলে। তাঁর সরকার ’৯৬ থেকে ২০০১ মেয়াদে একুশ বছর পর ক্ষমতায় এসেই সে সময়ে ১৯ হাজার বৃহৎ, মাঝারি, ছোট সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করে।
এসময় গণভবনের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সুনামগঞ্জ, বরিশাল, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম জেলা প্রান্ত যুক্ত ছিল।
সুবিধাভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সময় প্রধানমন্ত্রী চলমান কোভিড-১৯ মহামারী থেকে উদ্ভূত বৈশ্বিক সংকট এবং রাশিয়া-ইউক্রেনকে যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশি^ক মন্দা এবং বিশে খাদ্য সংকট সৃষ্টির যে আশংকা করা হচ্ছে তা থেকে পরিত্রাণ পেতে সকলকে সাশ্রয়ী এবং বিদ্যুৎ ও জ¦ালানি ব্যবহারে মিতব্যায়ী হবার পাশাপাশি সার্বিক উৎপাদন বাড়ানোতে তাঁর আহ্বান পূণর্ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের প্রত্যেকটা এলাকায় আপনারা যত পারবেন খাদ্য উৎপাদন করবেন। তরি-তরকারি যেটা পারেন উৎপাদন করবেন, হাঁস মুরগী ছাগল, ভেড়া- যেটা পারেন সেটা পালন করতে হবে। অর্থাৎ নিজেদের খাদ্য সংস্থান নিজেদের করার চেষ্টা করতে হবে। কেননা, বিশ^ব্যাপী যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিচ্ছে এর ধাক্কা যেন বাংলাদেশকে খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্থ করতে না পারে।
তিনি বলেন, এই আঘাতটা আসবেই, কারণ, বিশ^ এখন একটি গ্লোবাল ভিলেজ। কাজেই, কোন জায়গায় একটা সমস্যা দেখা দিলে এর অভিঘাতটা বাংলাদেশেও এসে পড়ে। পাশাপাশি, প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়াতে আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে খুৃবই সাশ্রয়ী হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আবারো বলেন, দেশের উন্নয়নের যে ধারাটা আমরা সৃষ্টি করেছি সেটা ধরে রাখতে উৎপাদন বাড়ান। আর যেসব জায়গায় ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা গেছে সেসব এলাকায় ঘর-বাড়ি এবং চারপাশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখেন এবং মশারি টানিয়ে ঘুমাতে যান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী সেতুগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন।
অনুষ্ঠানে সেতুর ওপর একটি ভিডিও-ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের যোগাযোগ খাতের উন্নয়নে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি, তৃণমূলের মানুষের জন্য দেশের যে উন্নয়ন করা হয়েছে তার সুফল পাচ্ছে দেশের মানুষ এবং সরকার কাজ করছে বলেই মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশে আর কোনো অভাব হয়নি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের ফলে পার্বত্য অঞ্চলেও উন্নয়ন হচ্ছে। সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থারও উন্নয়ন হচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়, আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। তিনি বলেন, তাঁর সরকার এমন ভাবে সেতু সড়ক ও মহাসড়কগুলো নির্মাণ করছে, যেন, শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয় আমরা এশিয়ান হাইওয়ে এবং এশিয়ান রেলের সঙ্গে যুক্ত হতে পারি। কারণ, ট্রান্স এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আমাদের যোগাযোগ যাতে আরো এগিয়ে যেতে পারে সেদিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিয়েছি।
আমরা বাংলাদেশটাকে উন্নয়নের জন্য রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা দিয়েছিলাম। সেভাবেই কাজ করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। পার্বত্য চট্টগ্রামে যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক ছিল না, সেখানে সেটা করেছি। কেননা, দুর্গম এলাকাতে পর্যন্ত আমরা ব্রডব্যান্ড এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ এর মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। এ কারণেই আজ বিভিন্ন জেলা যুক্ত করে একযোগে ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করতে পারছি।
সারাদেশে কানেকটিভি বাড়াতে তাঁর সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে, সড়ক, নৌ এবং আকাশপথে যোগাযোগের বাড়াতে তাঁর সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© All rights reserved © 2022 daily Ajker Songram
Customized By Shakil IT Park