এম, এস, এ রেজা ( শুভ্র শাওন):
দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ চক্র কেরাণীগঞ্জ ও ঢাকার আশেপাশের এলাকা থেকে ছিনতাইকৃত ও চোরাই অটোরিক্সা ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিলো। বিভিন্ন সময় অটোরিক্সা ছিনতাইকারী গ্রেফতার হলেও ছিনতাইকৃত অটোরিক্সা উদ্ধার করা সম্ভব হতো না। কেননা এই চক্রের সাথে বিভিন্ন অটোরিক্সা ছিনতাইকারীদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ থাকায় ছিনতাইকৃত অটোরিক্সা/ মিশুক অটো কয়েকটি হাত বদল হয়ে যেতো। সংঘবদ্ধ এই চোরাই মিশুক অটোরিক্সা ক্রয়- বিক্রয় চক্রকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কেরাণীগঞ্জ সার্কেল শাহাবুদ্দিন কবীর বিপিএম – সেবা এর নির্দেশনায় গেয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। আজ কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, রুহিতপুরে চোরাই ব্যাটারী চালিত অটোরক্সা ক্রয়- বিক্রয় করার জন্য কতিপয় ব্যক্তি চোরাই অটোরিক্সা সহ অবস্থান করিতেছে। উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন – অর রশীদ পিপিএম এর তত্ত্বাবধানে পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মুন্সী আশিকুর রহমান এর নেতৃত্বে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার চাঞ্চল্যকর বেশ কয়েকটি মামলার তথ্য উদঘাটন ও আসামীদের গ্রেপ্তার সহ লুট হওয়া বিপুল পরিমান স্বর্ণ উদ্ধার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই অলোক সহ আভিযানিক টিম রুহিতপুরে অভিযান পরিচালনা করে ১। বাচ্চু (৫৫), ২।মোঃ নজরুল ইসলাম (২৫), ৩। মোঃ ফারুক হাসান (৩০) দের একটি চোরাই অটোরিক্সা সহ গ্রেফতার করে। ধৃত আসামী বাচ্চু জানায় তাহারা একটি সংঘবদ্ধ চোরাই মিশুক ও অটোরিক্সিা কেনা-বেঁচা চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাহারা ঢাকা জেলা সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা হইতে চুরি যাওয়া মিশুক ও অটোরিক্সিা ক্রয় করিয়া অন্যের কাছে বিক্রয় করিয়া থাকে। তাহারা কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন খোলামোড়া জনৈক মোশারফ হোসেন এর বাড়ীতে ভাড়া নেওয়া রিক্সা গ্যারেজে আরো ০৪ টি চোরাই অটোরিক্সা বিক্রির জন্য রেখেছে। এছাড়াও তাদের চক্রের সদস্য পিয়ার আলীর গ্যারেজে ০২ টি, মোঃ আরিফুল, রিপন শেখ ও জামাল শেখ এর কাছে ০১ টি করে, দ্বীন ইসলামের কাছে ০৩ টি ব্যাটারী চালিত চোরাই অটোরিক্সা বিক্রির জন্য রাখা আছে। পরবর্তীতে বাচ্চুর দেওয়া তথ্য মতে কেরাণীগঞ্জের রুহিতপুর, খোলামোড়া, লাখিরচর ও ব্রাহ্মনকিত্তা এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে মোঃ আরিফুল হোসেন (৩০), রিপন শেখ, জামাল শেখ (৪০),দ্বীন ইসলাম (৪২) দের গ্রেফতারপূর্বক তাদের হেফাজত হইতে আরো ১০ টি চোরাই অটোরিক্সা উদ্ধার করা হয়। ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামীরা একটি সংঘবদ্ধ আন্তঃ জেলা চোরাই মিশুক ও অটোরিক্সা কেনা-বেঁচা চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাহারা অসহায় খেটে খাওয়া মানুষের শেষ সম্বল অটো ও মিশুক বিভিন্ন এলাকার ছিনতাইকারী,চোরদের মাধ্যমে ছিনতাই ও চুরি করাইয়া অটো ও মিশুকের রং, আকার আকৃতি পরিবর্তন করিয়া অন্যের কাছে বিক্রি করে। তাদের দেওয়া তথ্য মতে আরো জানা যায় একই ভাবে আরো ২/৩ টি চক্র চোরাই মিশুক ও অটেরিক্সা কেনা-বেঁচার সাথে সক্রিয় আছে। ধৃত ও পলাতক আসামীদের নিকট হইতে ১১ টি ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা উদ্ধার করা হয় যার আনুমানিক মূল্য ৬,৬০,০০০ টাকা।। এব্যপারে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে।