গাজী এনামুল হক (লিটন)
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরে সাগরের বিরল প্রজাতির সোনালী হাইতি ভোল মাছ বিক্রির টাকা আত্মসাৎ এবং মাছের মালিককে ভয়ভীতি ও হুমকির দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আড়ৎদারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পিরোজপুর প্রেসক্লাবের এ সংবাদ সম্মেলন এ অভিযোগ করেন সাগর থেকে সোনালী হাইতী মাছ আহরণকারী জেলে মো: বাদল মাঝি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলে মো: বাদল মাঝি জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর সাগর থেকে সোনালী হাইতী ভোল মাছটি নিয়ে ট্রলার যোগে পাড়েরহাট মৎস্য বন্দরে আসেন। এ সময় পাড়েরহাটের অনেক মাছের ব্যবসায়ী ও জেলেরা তাকে জানান তার জালে আটকা পড়া মাছটি বিরল প্রজাতির সোনালী হাইতি ভোল মাছ। এ মাছটির ওজন ৩২ কেজি ৭০০ গ্রাম। এই সোনালী হাইতী ভোল মাছটির অনেক ঔষুধি গুনাগুন আছে এবং এই মাছটির মূল্য প্রায় কোটি টাকা। পরে তিনি বিষয়টি পাড়েরহাটের মাছের আড়ৎদার মো: জাহিদ হোসেনকে জানালে তিনি পরের দিন ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে মাছের আড়তে এই মাছঠি উঠাবেন বলে জানান।
কিন্তু ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে মাছের আড়ৎদার জাহিদ কৌশলে মাছটি বিক্রি করার কথা বলে বাদল মাঝির ট্রলার থেকে মাছটি তিনি নিয়ে যায় এবং মাছটি চট্রোগ্রামে নিয়ে বিক্রি করবেন বলে জানান। পরে ঐদিন রাতেই জাহিদ বাদল মাঝিকে ফোন দিয়ে বলেন ৭/৮ দিন তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ করাতে তা না হলে তার সমস্যা হবে। ফোন বন্ধের ৭/৮ দিন পরে আড়ৎদার জাহিদের কাছে মাছের বিষয়ে জানাইতে চাইলে বাদল মাঝিকে নানা রকম হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে মাছের আড়ৎ থেকে পাঠিয়ে দেয়। আমি এতো কষ্ট করে সাগর থেকে মাছ ধওে, মাছ বিক্রির টাকাই পেলাম না। সে আমার মাছ নিল টাকা দিলোনা।
তকে অভিযুক্ত মাছের আড়ৎদার জাহিদ হোসেন জানান, সোনালী হাইতী ভোল মাছটি তিনি বাদল মাঝি সহ ট্রলারের অন্য কয়েকজন মাঝিকে সাথে নিয়েই ১০ লক্ষ টাকায় বিক্রিয় করেছেন। এই টাকার ভাগ ৩ লক্ষ টাকা বাদল মাঝিকে দিয়ে দেয়া হয়েছে। বাদল মাঝির কাছে দাদনের পাওনা ৯ লক্ষ টাকা চাওয়ায় বাদল এই মিথ্যা কথা ছড়াচ্ছে।