হিজলা(বরিশাল) প্রতিনিধি ঃ
বরিশালের হিজলা উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের চর ছয়গাও গ্রামে। ঢাকা থেকে এক বান্ধবীর সাথে বেড়াতে এসে নগদ টাকা ও স্বর্ণ অলংকার সহ শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানাযায়, ঢাকায় একটি প্রাইভেট কম্পোনী সিনিয়র ম্যানেজার পদে চাকরি করেন মনি আক্তার। হুসনেয়ার (বর্ষা) একই অফিসে কর্মরত।
চাকরির সুবাদে উভয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে হোসনেয়ারা বর্ষা(২৫) আমন্ত্রণে দুই বান্ধবী গত ২৪ তারিখ উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের চর ছয়গাঁও গ্রামে হোসনেয়ারা বর্ষার দুলাভাইর বাড়িতে বেড়াতে আসেন।
প্রতারণার শিকার মনি আক্তার জানায় ২৫ তারিখ আমার সাথে খারাপ আচারন করলে পরের দিন চলে যেতে চাই। আমার সাথে থাকা সাইড ব্যাগ হাতে নিয়ে দেখি ব্যাগের মধ্যে থাকা। নগদ ১ লক্ষ ৩ হাজার টাকা ও এক জোড়া কানের দুল সহ পাস ব্যাগ টি নেই। তখন বর্ষার কাছে জিজ্ঞাসা করলে তার বোনজামাই মিজান বেপারী ও বড় বোন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারপিট করে এতে আমি অসুস্থ হয়ে পরি।
পরে চিকিৎসার কথা বলে হোসনেয়ারা (বর্ষা)সহ মিজান বেপারী স্থানীয় একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে বরজালিয়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর বর্ষার বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে মিজান চলে যায়। সেখানে আমি চিৎকার করলে হোসনেয়ারা(বর্ষা) তার বোন জামাই মিজানকে ফোন করে ডেকে আনে। তখন রাত আনুমানিক দুইটার দিকে আমাকে পুনরায় মিজানের বাড়িতে ট্রলারযোগে নিয়ে আসার সময় মাঝ নদীতে নিয়ে মিজান, বর্ষা, তার বোন, মা সহ ৩-৪ জন মিলে আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে।
২৭ তারিখ সকালে আমি আত্মরক্ষার জন্য ছয়গাও বাজারে জামাল সরদারের চায়ের দোকানে পালিয়ে এসে ৯৯৯ এ ফোন করি। তখন হিজলা থানা পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এরপরে পুলিশ আমার বাবাকে সংবাদ দিলে আমার বাবা আসলে তার নিকট আমাকে বুঝিয়ে দেন। আমি এ বিষয়টি হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট লিখিত আকারে অভিযোগ দেই।
এ ব্যাপারে জানতে সরোজমিনে গেলে অভিযুক্ত হোসনেয়ারা বর্ষার বড় বোন বলেন বর্ষা এখন অসুস্থ সে কারো সাথে কথা বলতে পারবেন না।
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইউনুস মিয়া অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন বিষয়টি তদন্ত করে আইনানব্যবস্থা গ্রহণ করব।
প্রকাশক : শহিদুল ইসলাম
সম্পাদক : এম,এস,এ রেজা
প্রকাশক : 01746808322
সম্পাদক : 01712340047
ইমেইল : dailyajkersongram@gmail.com
Copyright © 2024 দৈনিক আজকের সংগ্রাম. All rights reserved.