এইচ এম বাশাৱ
পিরোজপুৱ (ইন্দুরকানী) প্রতিনিধি:
নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ ধরা শুরু, বাজারে আসছে বড় সাইজের ইলিশ-পোমা
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে শুক্রবার রাতে। রাত ১২ টার পরপরই সাগর ও নদীতে মাছ শিকারে নেমে পড়েছেন উপকূলের জেলেরা। এদিকে, শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরের পর থেকেই বড় বড় সাইজের ইলিশ, পোমাসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক তাজা মাছ বাজারে আসতে শুরু করে।
শনিবার সন্ধ্যায় ইন্দুরকানী বাজাৱ ইন্দুরকানী ব্রিজ টোল, ঘোষেরহাট বাজার, বালিপাড়া বাজার, চন্ডিপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বড় সাইজের মাছের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। তবে বিভিন্ন তাজা মাছ উঠলেও দাম অনেক বেশি বলে জানান ক্রেতারা।
চন্ডিপুর বাজারের মাছ বিক্রেতা রসুল আহম্মেদ বলেন, অবরোধের ২২ দিন মাছ বিক্রি বন্ধ ছিল। আজ থেকে মাছ বিক্রি শুরু করেছি। মাছের সাইজ অনেক ভালো। দুই কেজি, আড়াই কেজি সাইজের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। তবে অনেক দিন জেলেরা মাছ ধরতে না পারায় দাম একটু চড়া।
বালিপাড়া বাজারের আরেক মাছ বিক্রেতা সেলিম গাজী বলেন, বড় বড় মাছ পাওয়া যাচ্ছে। তবে ইলিশের পেটে এখনো ডিম। শতকরা ৯৫ ভাগ ইলিশের পেটে ডিম আছে। অবরোধের সময় আরও বাড়ানো উচিত ছিল।
ঘোষেরহাট বাজারের মাছ বিক্রেতা রহিন জানান, সকাল দিকে কিছু কিছু মাছের আমদানি শুরু হয়েছে। তবে দুপুরের পরপরই বাজারে মাছের আমদানি বাড়তে থাকে। এদিকে ২২ দিন নদী ও সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় আজ বাজারে যে মাছ আসছে তা সবই তাজা।
এ বিষয়ে ইন্দুরকানী উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, গত ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন নদী ও সাগরে মাছ ধরা বন্ধ ছিল। এই সময় ইলিশসহ অন্য মাছ ডিম ছাড়ার সুযোগ পেয়েছে। এছাড়া নভেম্বর থেকে জুলাই পর্যন্ত ৯ মাস পাঙাস মাছের পোনা (৩০ সেন্টিমিটার) ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকে এবং নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত আট মাস জাটকা (২৫ সেন্টিমিটার) ধরা বন্ধ থাকে। এসব কারণে ইলিশ এবং পাঙাসসহ অন্য মাছ যেমন ডিম ছাড়ার সুযোগ পায় পাশাপাশি মাছ বড় হওয়ারও সুযোগ পাচ্ছে।