গাজী এনামুল হক (লিটন)
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্নিঝড় “সিত্রাং” এর প্রভাবে পিরোজপুরে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন দপ্তর প্রধানদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেস মো: আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন। এসময় জেলা কৃষি কর্মকর্তা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক জানান, ঘূর্নিঝড় “সিত্রাং” এর ফলে পিরোজপুর জেলায় কোন প্রান হানির ঘটনা ঘটেনি। মঠবাড়িয়া ও ইন্দুরকানী উপজেলায় এলাকায় সামান্য কিছু ভেরীবাধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মঠবাড়িয়া এলাকায় কিছু বৈদ্যুতিক খুটি পড়ে গেছে এছাড়াও সামান্য কিছু ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। যখন ঘূর্নিঝড় “সিত্রাং” আঘাত হানে তখন জোয়ার ছিলোন আর যখন জোয়ারের চাপ এসেছে তখন ঘূর্নিঝড় অতিক্রম করে গেছে ফলে জলচ্ছাস এর প্রভাব পড়েনি। আমন ধানে মাত্র চার শতাংশে ফুল আসছে তাই ধানেরও তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। মৎস্য সম্পদের ক্ষতির পরিমান এখনো পাওয়া যায়নি। তবে জেলাতে কি পরিমানে ক্ষতি হয়েছে তার বিস্তড়িত জানতে আমাদের আরো কয়েক ঘন্টা পরে বিস্তড়িত জানানো যাবে।
জেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: নজরুল ইসলাম জানান, জেলার ৭ টি উপজেলায় ৬৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের রোপন করা হয়েছে। মাত্র ৪ শতাংশ আমন ধানের ফুল এসেছে ফলে বাতাস বা ঝড়ো হাওয়ার প্রভাব আমন ধানে তেমন পরেনি। এছাড়াও এ জেলাতে রবি শষ্য একটু দেরিতেই আবাদ করা হয় ফলে রবি শষ্যের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল বারী জানান, জেলাতে ৪০ হেক্টর জমিতে ছোট বড় ৩ শতাধিক ঘের রয়েছে। ঘূর্নিঝড় “সিত্রাং” এর আঘাতের সময়ে জোয়ারের চাপ ছিলো না তাই খুব বেশি ঘের প্লাবিত হয়নি। তবে কি পরিমান ঘের তলিয়ে গেছে এবয় কি পরিমানে ক্ষতি হয়েছে তা জানতে একটু সময় লাগবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, কোন প্রানহানির ঘটনা ঘটেনি কোন উপজেলায়। তবে মঠবাড়িয়া, ইন্দুরকানী ও ভান্ডারিয়াতে কিছু রাস্তা ও বৈদ্যুতি খুটি ভেঙ্গে গেছে। পুরানো কিছু বাধে সমস্যা থাকলেও নতুন করে কোন ভাধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হয়নি। ফলে মানুষ ও পশু পাখির তেমন কোন ক্ষতি হয়নি বলে ধারনা করা হচ্ছে। ঘূর্নিঝড় আঘাত হানার পরে জোয়ার হওয়ায় নিন্মঞ্চল তেমন প্লাবিত হয়নি ফলে ক্ষতির পরিমান অনেকটাই কম হয়েছে।