সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় সনুই নদীর জলমহাল দখলকে কেন্দ্র করে জেলে শ্যামাচরণ বর্মণ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে সিলেট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত বছরের ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শ্যামাচরণ বর্মণের লোকেরাই তাকে গলা কেটে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল বলে শুক্রবার নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট পিবিআইয়ের এসআই তরিকুল ইসলাম।
গত বছরের ৭ জানুয়ারিতে এসআই আরিফুল হকের জিডি নং ২০৫ থেকে জানা যায়, চন্দন বর্মন ও সুবল বর্মণ গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয় । কিন্তু মামলায় স্থানীয় এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
অপরদিকে গত বছরের ১০ জানুয়ারি এসআই আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা ৫০/৬০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। পরবর্তীতে রহস্য উদঘাটন করতে একই বছরের ২১ মার্চ মামলার তদন্তের দায়িত্ব নেয় পিবিআই। পিবিআই শ্যামাচরণ বর্মণ পক্ষের খলিল খান, ফেরদৌস, হাবলু, জহরলাল ও মোশারফকে আটক করে। পরে আটককৃতরা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শ্যামাচরণের লোকজনই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেন।
গত বুধবার সাধন ভৌমিক ও তুহিন নামের আরও দুইজনকে আটক করেছে পিবিআই। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট পিবিআইয়ের এসআই তরিকুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে ৫ জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে শ্যামাচরণের লোকজনই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। কয়েকজনের নাম সামনে এসেছে। তদন্তের স্বার্থে তা বলা যাচ্ছে না। তবে কার নির্দেশে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।