আজকের সংগ্রাম ডেস্ক :
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা আবদুল্লাপুর ইউনিয়ন দক্ষিণ শিবা গ্রামের বৃদ্ধ জলিল ফরাজী (৮০)। এক যুগ আগে তাঁর স্ত্রী মারা গেছেন। বুধবার রাতে তিনি একই উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়ন তুলাগাছিয়া গ্রামের জাহানারা বেগমকে (৪০) বিয়ে করেন। জাহানারার স্বামী মারা গেছেন প্রায় ৩ বছর আগে। বৃদ্ধ’র ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি থাকলেও কনে জাহানারা বেগমের একমাত্র কন্যা মারা গেছে। এই প্রবীণের বিয়ে ঘিরে গ্রামজুড়ে চলছে আনন্দ উৎসব। মুহুর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ বিয়ের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে দাদা ও নানা সম্মোধন করে নতুন দাম্পত্য জীবন সুখময় কামনা করেছেন। বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতায় দুজনের পরিবারের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
গ্রামের বাসিন্দারা জানালেন, স্ত্রী মারা যাওয়ার পর জলিল ফরাজি প্রায় এক যুগ ধরে টিনের চৌচালা ঘরে একাই বসবাস করছিলেন। তাঁর ছেলে ও মেয়ের আলাদা সংসার হয়েছে। তাঁরা তেমন খোঁজ-খবর নেন না। ইটভাটয় কাজ করে নিজের খরচ চালান তিনি। তিনি হাসিখুশি মানুষ। এত দিন দ্বিতীয় বিয়ের কথা বললেও তিনি রাজি হননি। নিজের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে বৃদ্ধ বয়সে দেখভালের জন্য হঠাৎ বিয়ে করতে রাজি হলেন।
বৃদ্ধ বর জলিল ফরাজি জানান, ঘটকের মাধ্যমে কনে জাহানারা বেগমের সাথে পরিচয় হয়। উভয়ের সম্মতিতে ২ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
কনে জাহানারা বেগম বলেন, স্বামী ও কন্যা সন্তানের মৃত্যুর পর তিনি খুব অসহায় হয়ে পরেন। একাকীত্ব ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তিনি বিয়েতে রাজি হয়েছেন।