আজকের সংগ্রাম ডেস্ক : ফরিদপুর জেলা পরিষদের নির্বাচন কেন্দ্রিক অন্ধকারের একটা ছবিকে কেন্দ্র করে বোয়ালমারীতে তুমুল বিতর্ক চলছে। বোয়ালমারী উপজেলা যুবলীগের একাংশের যুগ্ম আহ্বায়ক বোয়ালমারী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আব্দুল হান্নান আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধচারী যুবলীগের সাবেক নেতা শাহাদাত হোসেনের পক্ষে উপজেলার রুপাপাত বাজারে গণসংযোগ কালীন গভীর রাতের একটা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রিন্টিং মিডিয়ায় প্রচার হওয়ায় তুমুল বিতর্ক ও সমালোচনার ঝড় বইছে রাজনৈতিক মহলে।
বোয়ালমারী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও উপজেলা যুবলীগের একাংশের আহ্বায়ক শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু বলেন, আজ জেলা কমিটির সভায় আব্দুল হান্নানের দলীয় ফোরামের বিরুদ্ধে অবস্থানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আব্দুল হান্নান বলেন, একটা ছবি প্রমাণ করেনা, আমি দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি।
তিনি বলেন, একজন লোকের সাথে একজন লোকের ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকতেই পারে। সে সম্পর্ক দলীয় সম্পর্কের বিরুদ্ধে যাবে এমনটা না। তিনি আরও বলেন, মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী আমার দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য, তিনি আমাকে কিছু বলতেই পারেন। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে আমার নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশ আমার কাছে সবার উর্ধে।
আব্দুল হান্নান এর আপন ভাই বোয়ালমারী পৌর কাউন্সিলর আব্দুল মান্নান বলেন, আমি বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, যুবলীগের সদস্য নই। আমি আমার নেতা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এম, এম, মোশাররফ হোসেনের নির্দেশে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মো. ফারুক হোসেনের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছি। আওয়ামী প্রার্থীর বিরুদ্ধাচারণের প্রমাণ কেউ দিতে পারবেনা।
উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এম,এম, মোশাররফ হোসেন বলেন, আব্দুল মান্নান আমার দলীয় কর্মী, সে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধাচারণ করছে এমন কথা আমি বলিনি । সে দলের বিরুদ্ধারণ করছেনা। তবে আব্দুল হান্নান আমার দলীয় সদস্য না, তাই তার ব্যাপারে আমার কোন বক্তব্য নেই।
জেলা যুবলীগের একাংশের আহ্বায়ক শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভায় অংশ নিতে ফরিদপুর যাবার প্রাক্কালে বলেন, দুদিনের চাঁদ স্পষ্ট দেখা যাবে, খুঁজতে হবেনা। নির্বাচন দোরগোড়ায়, দুদিন পরেই জানা যাবে, কে কার পক্ষে কাজ করেছে। মুখোশধারিদের মুখোশ উন্মোচন হবেই।