ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি করার সময় নারীসহ সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের ব্যবহৃত একটি নোহা গাড়ি, ক্যামেরা, পাঁচটি মোবাইল ফোন, চার্জারসহ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার একাধিক ভুয়া আইডি কার্ড জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (১২ অক্টোবর) রাতে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন- শামীম হোসেন, রাকিবুল হায়দার, রেজাউল করিম খান, আরাফাত হোসেন, গাড়ি চালক আতাউর রহমান, সুমা ও জীবনী। তারা গাজীপুর বাসন থানা, নোয়াখালী, জামালপুর ও শেরপুরের বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, উপজেলার ইউসুবেরবাগ মাদরাসা ও এতিমখানায় অনেক দুর্নীতি চলছে- এমন অভিযোগ করে বুধবার বিকেলে সমাজসেবা মন্ত্রণালয় থেকে অডিট করার নামে ম্যাজিস্ট্রেট ও সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন তথ্য চাওয়া হয় মাদরাসার মুহতামিমের কাছে। তারা ‘অডিট করার বিল’ বাবদ নগদ তিন হাজার টাকা নেয়। আরও ৪০ হাজার টাকা দাবি করে, যা দুই দিনের মধ্যে বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করতে বলা হয়।
এদিকে একই কায়দায় উপজেলার পৌরসভার বাকাইল এতিমখানা মাদরাসায় প্রবেশ করে মুহতামিম হাফেজ মো. ইদ্রিস আলীকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে টাকা হাতানোর চেষ্টা করে। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সন্দেহ হলে তাদের আটক করে। পরে স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকরা পুলিশকে সংবাদ দিয়ে গতরাতে থানায় সোপর্দ করে। এ ঘটনায় একই দিন রাতে ইউসুবেরবাগ গোরস্থান মাদরাসা ও এতিমখানার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. শরফুদ্দিন মোল্যা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারে তাদের ফরিদপুরের আদালতে সোপর্দ করা হবে।