শুভ্র শাওন : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজে দুজন নিজেদেরকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দাবি করছেন। এদের মধ্যে একজন অবসর নেওয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছ থেকে দায়িত্ব নিয়েছেন। অপরজন জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিজেকে অধ্যক্ষ দাবি করছেন।
দুজন অধ্যক্ষ দাবি করায় কলেজের কাজে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এতে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ও কাগজপত্র অনুযায়ী জানা যায়, শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবু জামালের ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী ১১ অক্টোবর তিনি অবসরে যান। একইদিন কলেজের প্যাডে দেওয়া এক পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, কলেজের সভাপতি ও আখাউড়া উপজেলা উপেজলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত সহকারী অধ্যাপক ওয়াহিদ সারোয়ার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করবেন। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) ওয়াহিদ সারোয়ার দায়িত্বভার গ্রহণ করলেও বুধবার (১২ অক্টোবর) কলেজে আসেননি।
অন্যদিকে বুধবার সকালে কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব অর্পণে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন সহকারী অধ্যাপক ও আখাউড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির মোল্লা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুযায়ী শেষ কর্মদিবসে জ্যেষ্ঠতম শিক্ষক হিসেবে আমার কাছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু অবসরে যাওয়া আবু জামাল বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কলেজে না এসে সময়ক্ষেপণ করেন। পরে অন্যান্য শিক্ষকরা জ্যেষ্ঠতম শিক্ষক হিসেবে আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করেন। সরকারি বিধি মোতাবেক হওয়ায় ও প্রশাসনিক পদ শূন্য থাকতে পারে না বিধায় আমি সম্মতি জ্ঞাপন করি। এ সময় দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা কামনা তিনি।
এ বিষয়ে অপর অধ্যক্ষ ওয়াহিদ সারোয়ার বলেন, ‘অবসরে যাওয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে পরামর্শ করে বিধি মোতাবেক আমাকে লিখিতভাবে দায়িত্ব দিয়েছেন। কিন্তু হুমায়ুন কবির মোল্লার কাছে এ ধরনের কোনো ডকুমেন্ট নেই। এখন থেকে আমি নিয়মিত দায়িত্ব পালন করবো।’
হুমায়ুন কবির মোল্লা এ বিষয়ে বলেন, ‘নিয়ম অনুসারে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে দায়িত্ব দেওয়ার কথা। এ ক্ষেত্রে সেটা করা হয়নি। কলেজের অন্যান্য শিক্ষকরা আমাকে দায়িত্ব নিতে উৎসাহিত করেছেন। আমি সবার সহযোগিতায় দায়িত্ব পালন করতে চাই।’
অবসরে যাওয়া অধ্যক্ষ আবু জামাল বলেন, ‘আমি তিনজনের নাম প্রস্তাব করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছি। তবে হুমায়ুন কবিরের নামে মামলা থাকায় আমাকে বলা হয়েছে ওয়াহিদ সারোয়ারকে দায়িত্ব দিতে। সে অনুযায়ি আমি উনাকে দায়িত্ব দিয়েছি।’
জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। বিধি মোতাবেক যদি এ বিষয়ে কিছু করার থাকে তাহলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ আখাউড়া উপজেলার শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজে দুজন নিজেদেরকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দাবি করছেন। এদের মধ্যে একজন অবসর নেওয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছ থেকে দায়িত্ব নিয়েছেন। অপরজন জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিজেকে অধ্যক্ষ দাবি করছেন।
দুজন অধ্যক্ষ দাবি করায় কলেজের কাজে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এতে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ও কাগজপত্র অনুযায়ী জানা যায়, শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবু জামালের ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী ১১ অক্টোবর তিনি অবসরে যান। একইদিন কলেজের প্যাডে দেওয়া এক পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, কলেজের সভাপতি ও আখাউড়া উপজেলা উপেজলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত সহকারী অধ্যাপক ওয়াহিদ সারোয়ার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করবেন। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) ওয়াহিদ সারোয়ার দায়িত্বভার গ্রহণ করলেও বুধবার (১২ অক্টোবর) কলেজে আসেননি।
অন্যদিকে বুধবার সকালে কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব অর্পণে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন সহকারী অধ্যাপক ও আখাউড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির মোল্লা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুযায়ী শেষ কর্মদিবসে জ্যেষ্ঠতম শিক্ষক হিসেবে আমার কাছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু অবসরে যাওয়া আবু জামাল বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কলেজে না এসে সময়ক্ষেপণ করেন। পরে অন্যান্য শিক্ষকরা জ্যেষ্ঠতম শিক্ষক হিসেবে আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করেন। সরকারি বিধি মোতাবেক হওয়ায় ও প্রশাসনিক পদ শূন্য থাকতে পারে না বিধায় আমি সম্মতি জ্ঞাপন করি। এ সময় দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা কামনা তিনি।
এ বিষয়ে অপর অধ্যক্ষ ওয়াহিদ সারোয়ার বলেন, ‘অবসরে যাওয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে পরামর্শ করে বিধি মোতাবেক আমাকে লিখিতভাবে দায়িত্ব দিয়েছেন। কিন্তু হুমায়ুন কবির মোল্লার কাছে এ ধরনের কোনো ডকুমেন্ট নেই। এখন থেকে আমি নিয়মিত দায়িত্ব পালন করবো।’
হুমায়ুন কবির মোল্লা এ বিষয়ে বলেন, ‘নিয়ম অনুসারে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে দায়িত্ব দেওয়ার কথা। এ ক্ষেত্রে সেটা করা হয়নি। কলেজের অন্যান্য শিক্ষকরা আমাকে দায়িত্ব নিতে উৎসাহিত করেছেন। আমি সবার সহযোগিতায় দায়িত্ব পালন করতে চাই।’
অবসরে যাওয়া অধ্যক্ষ আবু জামাল বলেন, ‘আমি তিনজনের নাম প্রস্তাব করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছি। তবে হুমায়ুন কবিরের নামে মামলা থাকায় আমাকে বলা হয়েছে ওয়াহিদ সারোয়ারকে দায়িত্ব দিতে। সে অনুযায়ি আমি উনাকে দায়িত্ব দিয়েছি।’
জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। বিধি মোতাবেক যদি এ বিষয়ে কিছু করার থাকে তাহলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’